৳ ৬৫০ ৳ ৫৫৩
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশ নানা কারণে আলোচিত-আলোড়িত। কৃষি, শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, যুদ্ধ, বিজ্ঞান, আবিষ্কার, উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি-সবদিক দিয়েই ভারতীয় উপমহাদেশ অনন্য ও স্বকীয়তায় পূর্ণ। ৭১২ সালে মুহম্মদ বিন কাশেম (৬৯৫-৭১৫) সিন্ধুরাজ দাহিরকে পরাজিত করে ভারতে বিদেশিদের আড়মনের পথ সহজ করে দেন।
১২০৫ সালে বিপুলসংখ্যক সৈন্য নিয়ে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি নদীয়া (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা) আক্রমণ করেন। তিনি এতটাই ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ঘোড়া চালনা করেন যে, তার সঙ্গে মাত্র ১৭-১৮ জন সেনা আসতে পেরেছিল। ১৫২৬ সালে মির্জা জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর হরিয়ানার পানিপথ নামক স্থানে প্রথম যুদ্ধে দিল্লির লোদি রাজবংশের সুলতান ইবরাহিম লোদিকে (১৪৮০-১৫২৬) পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। ১৬৩৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মহানন্দা বদ্বীপের হরিহরপুরে একটি ফ্যাক্টরি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলায় (ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) ব্যাবসা-বাণিজ্য শুরু করে। ১৭৫৬ সালের এপ্রিল মাসে নবাব সিরাজউদ্দৌলার (১৭৩২-১৭৫২) ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে নবাব এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে বিরোধ অনিবার্য হয়ে পড়ে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সকাল ৮টায় মুর্শিদাবাদ জেলার পলাশী প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় এবং নবাব পরাজিত হন। বাংলাসহ পুরো ভারতবর্ষ চলে যায় ব্রিটিশদের অধীন। দীর্ঘ নীরবতার পর আস্তে আস্তে শুরু হয় স্বদেশি আন্দোলন। সুদীর্ঘ ১৯০ বছর পর ভারত আবার স্বাধীন হয়; তবে দুটি দেশরূপে-ভারত ও পাকিস্তান, যার ভিত্তি হয় ধর্ম অর্থাৎ দ্বিজাতিতত্ত্ব। ১৯০০-১৯৭১ সময়ে সংঘটিত নানা আন্দোলন, সম্মেলন, চুক্তি ও আইন নিয়ে একজন দক্ষ ও যোগ্য জহুরির মতো ড. ডি. এম. ফিরোজ শাহ্ আলোচ্য গ্রন্থ উপমহাদেশের স্বাধীনতা-আন্দোলন রচনা করেছেন, যেটি সকল শ্রেণির পাঠকের ভালো লাগবে-এ আশা করা যায়।
Title | : | উপমহাদেশের স্বাধীনতা-আন্দোলন |
Author | : | ড. ডি. এম. ফিরোজ শাহ্ |
Publisher | : | আগামী প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789849609131 |
Edition | : | 1st Published, 2022 |
Number of Pages | : | 272 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
ড. ডি. এম. ফিরোজ শাহ্ । জন্ম : ১ আগস্ট ১৯৬৯, কুতুবপুর, শিবচর, মাদারীপুরে। স্বনামধন্য চিকিৎসক পিতা ডা. মমিন উদ্দিন আহমেদ এবং মা রহিমা বেগমের ষষ্ঠ সন্তান ।
পেশা অধ্যাপনা। একজন শিক্ষক-প্রশিক্ষক হিসেবে দেশব্যাপী সুখ্যাতি থাকলেও ভালো লাগে নজরুলের দুরন্তপনা, শরৎচন্দ্রের বোহেমিয়ান জীবন, বুদ্ধদেবের নিসর্গ আর সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশভ্রমণ । এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু দেশসহ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছেন। মধ্যরাতের সুনসান নীরবতা আকর্ষণ করে প্রবলভাবে, খরতাপে ভিজতে ভালো লাগে, পাহাড়ের উচ্চতা আশা জাগায়, সমুদ্রের গভীরতা ভাবতে শেখায়। নদী-নারী-প্রকৃতি নিয়ে তার কৃতি । মানবমন, দ্বন্দ্ব, সংঘাত, প্রেম, ঈর্ষা আর আশাএসবের প্রতি নিগূঢ় ভালোবাসা। নানা ধরনের রচনার সংখ্যা প্রায় ৩৫টি। বনলতা সাহিত্য পর্ষদ থেকে যৌথভাবে তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে: সোনালী ডানার চিল (গল্প-কাব্যগ্রন্থ), শিশিরের শব্দ (কাব্যগ্রন্থ), ভিজে মেঘের দুপুরে (গল্পগ্রন্থ)। আগামী প্রকাশনী থেকে ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয় আলোচিত গল্পগ্রন্থ হৃদয়ে রক্তক্ষরণ এবং ২০০৭ সালে ইরাবতী। ২০১৯ সালে তার আলোচিত ভ্রমণকাহিনি ফিলিপাইন: রহস্যঘেরা এক মায়াবী দ্বীপরাষ্ট্র এবং ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকায় কর্মরত।
If you found any incorrect information please report us